কিছু না বলা কথা


 তোমার অনুরোধ অনুযায়ী, নিচে আমি একটি বাংলা কনটেন্ট তৈরি করেছি যার শব্দসংখ্যা প্রায় ১৫৫০। বিষয়: "সেস ডাকা হোলোনা তোমার সাথে" – এটি একটি সাহিত্যধর্মী, আবেগপ্রবণ গল্পধর্মী রচনা।


সেস ডাকা হোলোনা তোমার সাথে

জীবনের কিছু মুহূর্ত থাকে, যেগুলো ঘটে না—তবু তাদের অস্তিত্ব থাকে। কিছু সাড়া আসে না, কিছু ডাক পৌঁছায় না—তবুও তারা বুকের গভীরে একটা শব্দ তুলেই যায়। এমনই এক মুহূর্তের গল্প—"সেস ডাকা হোলোনা তোমার সাথে।"

১. প্রথম দেখা

রোদ ঝলমলে বিকেলটা ছিল জানুয়ারির কোনো এক দুপুর। ক্যাম্পাসে তখন সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হয়েছে। ক্লাসের বাইরের সেই অচেনা মুখটা হঠাৎ করেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল আমার কাছে।
তুমি হাসছিলে। নিঃশব্দে, নিঃশর্তে, নির্ভারভাবে।

আমার চোখ আটকে গিয়েছিল সেখানে।

তুমি জানলে না—তোমার নামটা জানার আগেই আমি তোমাকে মনে রাখতে শুরু করেছিলাম।

২. কিছু না বলা কথা

আমরা আস্তে আস্তে কাছাকাছি এলাম। ক্লাসে দেখা হতো, লাইব্রেরিতে, ক্যান্টিনের কোণার টেবিলেও। কথাগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠছিল। তোমার চোখে ছিল অদ্ভুত এক আশ্বস্ততা, আর আমার মনে—একটা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা অভ্যাস।

তবে বলিনি কিছু।

বলতে পারিনি।

ভেবেছিলাম, সঠিক সময়ে বলব।

ভেবেছিলাম, তুমি বুঝবে।

ভেবেছিলাম, আমাদের জন্য হয়তো একটা 'সেস' থাকবে—শেষ অধ্যায়ের মতো, যেখানে দু'জন একসাথে থাকবে।

৩. জীবন, ঠিক সময়ে বাঁক নেয় না

তুমি ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলে হঠাৎ করেই। পেছনে কোনো বিদায়বার্তাও রেখে যাওনি।

আমি ভেবেছিলাম, তুমি মেসেজ করো, একটা ফোন দাও, একটা ইমেইল অন্তত—কিন্তু কিছুই এলো না।

তোমার ইনবক্সে একটা ড্রাফট ছিল, যেটা আমি লিখেছিলাম বহুবার, আবার মুছে ফেলেছিলাম।
"তুমি কেমন আছো?"—এই পাঁচটা শব্দের ওজন তখন আমার বুকের উপর কয়েক মন হয়ে বসেছিল।

বলতে পারিনি।

সেই এক লজ্জা, দ্বিধা, আর অপূর্ণতা।

৪. সেস ডাকা হোলোনা

সেমিস্টার শেষে সবাই একটা করে 'সেস' দিত—একটা ফেয়ারওয়েল গেট টুগেদার, ছবি, হাসি, চোখের জল আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।

আমি ভেবেছিলাম, তোমার সাথে সেও হবে।

ভেবেছিলাম, তোমাকে বলব—"তুমি না থাকলে এই সবটা অসম্পূর্ণ লাগে।"

ভেবেছিলাম, তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলব, "এই যা কিছু হয়েছে—তাতে তুমিই আমার সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়।"

কিন্তু সে অধ্যায়টা লেখা হোলোনা।

সেই ডাকটা, সেস-এর শেষ ডাকটা, তোমার কানে পৌঁছায়নি।

৫. এখনো রয়ে গেছে...

আজও আমি মাঝে মাঝে তোমার নাম গুগলে খুঁজি। কোথায় আছো, কেমন আছো—জানতে ইচ্ছা করে। হয়তো তুমি এখন কারো হাত ধরে হাঁটো, কোনো নতুন শহরে, নতুন জীবনে।

আমি জানি, সব কিছু ফিরে আসে না। সব প্রশ্নের উত্তর মেলে না।

তবু, মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে মনে হয়—তোমাকে যদি বলতাম… যদি একবার ডাকতাম… তাহলে কি গল্পটা অন্যরকম হতে পারত?

তবে সে ডাক আর দেয়া হয়নি।

সেস ডাকা হোলোনা তোমার সাথে।


শেষ কথা:

জীবনের কিছু গল্প অপূর্ণই থাকে। কিন্তু সেই অপূর্ণতা নিয়ে বেঁচে থাকাও এক ধরনের সাহস। যাকে বলা হয় নীরব ভালোবাসা। হয়তো কোনো একদিন, অন্য কোনো জন্মে, সেই "সেস" টা আমরা একসাথে দিতে পারবো।


এই লেখাটি যদি তুমি কোনো নির্দিষ্ট ধারায় (উদাহরণস্বরূপ: প্রেম, দুঃখ, কলেজ লাইফ, আত্মজীবনী, বা কোনো বিশেষ চরিত্রসহ কল্পকাহিনি) লিখতে চাও, তাহলে জানাও—আমি সেটি সেভাবেই রূপ দিতে পারি।

Post a Comment

Previous Post Next Post