ভালোবাসার শেষ ঠিকানা
পরিচয়
তন্ময় আর রূপার পরিচয় এক কলেজে পড়াকালীন। প্রথম দেখাতেই তন্ময়ের মনে রূপার জন্য এক অদ্ভুত অনুভূতি জন্মেছিল। রূপার লম্বা কালো চুল, গভীর চোখ আর মিষ্টি হাসি যেন তার হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। কিন্তু তন্ময় কখনো তার মনের কথা বলতে পারেনি।
রূপাও তন্ময়কে পছন্দ করত, কিন্তু সে কখনো বুঝতে দেয়নি। ওদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর, একে অপরের সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিল।
প্রেমের সূচনা
কলেজ শেষ হওয়ার পর তন্ময় পড়তে চলে যায় অন্য শহরে। রূপা তার শহরেই থেকে যায়। দূরত্বের কারণে যোগাযোগ কমে এলেও হৃদয়ের টান একটুও কমেনি।
একদিন তন্ময় হঠাৎই রূপাকে মেসেজ পাঠায়,
👉 "তুমি কি কখনো অনুভব করেছ, কেউ তোমাকে না দেখেও প্রতিনিয়ত তোমার কথা ভাবে?"
রূপা অবাক হয়ে উত্তর দিল,
👉 "হয়তো! তুমি কি বলছো?"
তন্ময় সাহস করে লিখল,
👉 "আমি তোমাকে ভালোবাসি, অনেক আগে থেকেই। কিন্তু কখনো বলতে পারিনি!"
রূপা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল, তারপর উত্তর দিল,
👉 "তুমি এত দেরি করে বললে কেন? আমিও তো তোমাকে ভালোবাসি!"
ভালোবাসার সংগ্রাম
ওদের সম্পর্ক শুরু হলো, কিন্তু সব প্রেমের গল্পের মতোই বাধা আসতে শুরু করল। রূপার পরিবার চাইছিল সে অন্য একজনের সাথে বিয়ে করুক। তন্ময় জানত, রূপাকে পেতে হলে তাকে অনেক লড়াই করতে হবে।
তন্ময় রূপাকে বলল,
👉 "আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। তুমি কি আমার জন্য অপেক্ষা করবে?"
রূপা কাঁদতে কাঁদতে বলল,
👉 "হ্যাঁ, আমি অপেক্ষা করব।"
শেষ পরিণতি
তন্ময় রূপার পরিবারের কাছে গিয়ে নিজেকে প্রমাণ করল। ধীরে ধীরে পরিবারের মন গলল, আর ওরা দুজন এক হলো। ওদের বিয়ের দিন, রূপা বলল,
👉 "প্রেম মানে শুধু একসাথে থাকা নয়, প্রেম মানে একে অপরের জন্য লড়াই করা।"
তন্ময় মুচকি হেসে বলল,
👉 "তুমি আমার ভালোবাসার শেষ ঠিকানা।"
🌸 শেষ কিন্তু ভালোবাসার নয়... 🌸