শেষ চিঠি


 এখানে একটি দুঃখের ভালোবাসার গল্প দিলাম, যা হয়তো আপনার মন ছুঁয়ে যাবে।


শেষ চিঠি

তানিয়া আর আরাফ, ছোটবেলার বন্ধু। দুজনের সম্পর্কটা কখন যে বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায় রূপ নিল, তা কেউই বুঝতে পারেনি। তবে ভালোবাসা সবসময় সহজ হয় না।

আরাফ একদিন সাহস করে তানিয়াকে বলেছিল,
— "তুমি যদি আমার পাশে থাকো, আমি দুনিয়ার সব কিছু ভুলে যেতে পারি!"

তানিয়া হেসে বলেছিল,
— "পাগল! আমি তো আছিই তোমার জন্য!"

কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ ছিল না। তানিয়ার পরিবার কখনোই আরাফকে মেনে নেবে না, কারণ সে ছিল এক সাধারণ চাকুরিজীবীর ছেলে, আর তানিয়ার বাবা ছিলেন একজন ধনী ব্যবসায়ী।

একদিন তানিয়ার বাবা জানতে পারলেন তাদের সম্পর্কের কথা। তিনি তানিয়াকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন,
— "আরাফের কথা ভুলে যাও। নয়তো তোমার জন্য যা ভালো, তা আমি নিজেই ঠিক করব!"

তানিয়া বাধ্য হয়ে আরাফের থেকে দূরে সরে গেল। ফোন বন্ধ, মেসেজের কোনো উত্তর নেই। আরাফ প্রতিদিন তানিয়ার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকত, কিন্তু কোনো দেখা হতো না।

একদিন হঠাৎ তানিয়ার বিয়ের খবর পেল আরাফ। বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল, কিন্তু কিছু বলার অধিকার ছিল না তার।

বিয়ের দিন, ঠিক সন্ধ্যার সময়, তানিয়া তার ঘরে একা বসে কাঁদছিল। হঠাৎ একটা চিঠি পেল—আরাফের লেখা।

"তানিয়া,
তুমি যদি সুখী হও, তাহলে আমি সব ব্যথা ভুলে যাব। আমি জানি, আমাদের ভালোবাসার কাহিনি অসমাপ্ত রয়ে গেল। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি আজীবন তোমার জন্য ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকব। তোমার জীবনে যদি কোনো দিন কোনো কষ্ট আসে, জানবে, দূরে কোথাও কেউ তোমার জন্য প্রার্থনা করছে।
ভালো থেকো...
আরাফ"

তানিয়া চিঠিটা বুকে চেপে ধরল, কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল না। ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে সে কেবলই একটা নামহীন দুঃখের স্মৃতি হয়ে রইল।


কেমন লাগলো গল্পটা? 🥺❤️

Post a Comment

Previous Post Next Post